Vivo X80 5g price in BD and full review.
চলে আসলাম আজকে নতুন একটি ফোন রিভিও নিয়ে, যেটি বাজারে vivo x সিরিজের vivo x80 নামে পরিচিত। vivo কোম্পনি ফোন গুলো ইউজারদের মধ্যে একটু বাজেট ফেন্ডলি হয়। কিন্তু এই ফোনটি একটু আনফেন্ডলি বাজেটের মধ্যে রিলিজ করেছে। Vivo x80 5g price in bd একটু বেশি রাখা হয়েছে। ফোনটির ডিজাইন specifications থিকনেস এমন ভাবে প্রতিফলিত করানো হয়েছে যার কারণে ফোনটির বাজেট একটু হাই ডিমান্ডফুৃল। vivo কোম্পানি vivo x80 ফোনের মানকে শীর্ষে রেখে একটি ফ্লাগশীপ ডিজাইন দিয়েছে। vivo Hight demand full ক্যাটাগরির মধ্যে বেস্ট একটি স্মাটফোন হতে চলছে।
তো ফোনটি আমাদের কি কি অফার করছে, এবং এই বাজেটের মধ্যে ফোনটি আমাদের ক্রয় করা ঠিক হবে কি না। সেইসব নিয়েেই থাকছে আমাদের আজকের বিষেশ আয়োজন। তো চলেন সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক। Vivo x80 5g price in bd সম্পর্কে বিস্তারিত জানকে আমাদের সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন। এই স্মার্টফোনটি কিছুদিন আগেই বাংলাদেশর বাজারে রিলিচ করা হয়েছে। এর 12GB/256GB এর বাংলাদেশ অফিশিয়াল প্রাইস রাখা হয়েছে ৳৭৬,৯৯০ টাকা। কিন্তু এই স্মার্টফোনটির দাম আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছ।
এর Specifications অনুযায়ি এর দাম আরো কিছু কম হলে আর কোনো অভিযোগ ছিল না। যদিও বর্তমান বাজারে ডলার রেট অনেক বেশি যার কারনে প্রতিটা ফোনের জন্য এক্সটা দাম দিতে হচ্ছে। যার কারনেই মূলত এর দাম একটু বেশি বেশি মনে হচ্ছে।
Vivo x80 5g in BD design
এই স্মার্টফোনটি দেশের বাজারে ২ টি কালার ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাবে, Urban Blue, Cosmic Black. এই কালার দুটি আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। কালার গুলো একটু বোল্ড হয়তো ফিমেলদের হাতে বেশি মানাবে। এই স্মার্টফোনটির রেয়ার প্যানেলের ডিজাইনে আমরা Previous মডেলের সাথে একটি মিল খুজে পাব, বিশেষ করে এর ক্যামেরা মডিউলটিকে যদি একটু দূরে সরিয়ে রাখি তাহলে বাকি বিষয় বস্তু প্রায় একই রকম লাগবে। এর রেয়ার প্যানেলটা বেশ ফ্রস্টেড যার কারনে স্ক্যাচ পড়ার সম্ভবনা নেই এবং এর রেয়ার প্যানেল দেখতেও বেশ প্রিমিয়াম লাগছে। স্মার্টফোনটি হাতে নিলেই আপনি বুঝতেই পারবেন আপনি কোনো একটি ফ্লাগশীপ স্মার্টফোন ধরে আছেন। তবে এর ক্যামেরা মডিউলটাকে এবার বেশ বড় সড় করা হয়েছে। ক্যামেরা সেন্সরের পাশেই আমরা ভিভোর ব্রান্ডিং দেখতে পাচ্ছি।
ফোনের বডিফ্রেম মেটালের তৈরি করা যা যথেষ্ট চিকন রাখা হয়েছে। এই ফোনটিতে Punch Hole ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। যার সাইজ একদম ঠিকঠাক রাখা হয়েছে। এটিতে বেশ বড় একটি ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই ফোনটির ওজন 201 গ্রাম রাখা হয়েছে। এতে ফোনটি বড় হলেও এটি হাতে নিলে তেমন ভারি ফিল হবে না। স্মার্টফোনটির ডান পাশে পাওয়ার বাটন রয়েছে তার উপরে ভলিউম আপ ডাউন বাটন রয়েছে। উপরে রয়েছে সেকেন্ডারি noise cancellation মাইক বাম পাশ একদমই ক্লিন। নিচের দিকে থাকছে USB Type-C পোর্ট, primary microphone, speaker এবং সিম কার্ড স্লট। এই ফোনে 3.5mm হেডফোন জ্যাক থাকছে না। সব মিলিয়ে এর ডিজাইনে কোনো কমতি ছিল না।
Display
এই স্মার্টফোনটি 6.78’’ Inches এর একটি AMOLED ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। যা 120Hz high refresh rate সাপোর্ট করছে এবং 1500 nits brightness থাকছে। যথেষ্ট ভালো মানের ব্রাইটনেস, আউট ডোরেও তেমন কোনো সমস্যা হচ্ছিল না এটি ডিরেক্ট সানলাইটেও ইজিলি ব্যবহার করা যাচ্ছিল। এর ডিসপ্লেটা বেশ কালর ফুল এবং এর ডিসপ্লেতে হালকা কার্ভ থাকছে। তবে এর ডিসপ্লে সাইজটা আমার কাছে একটু বেশি বড় মনে হয়েছে। এর থেকে একটু ছোট হলে ভালো হতো। কিন্তু এই ফোনটিতে AMOLED ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে।
এই বাজেটে AMOLED ডিসপ্লে একদম মেনে নেওয়ার মতো ছিল না। এখানে Super AMOLED দিলে আর কোনো কমতি থাকতো না। এর ডিসপ্লে রেজুলেশন 1080 x 2400 pixels (388ppi). এর ডিসপ্লেতে তে 120 high refresh rate থাকছে সেটি ঠিকঠাক ছিল আর এর ডিসপ্লেটা যথেষ্ট রেসপন্সিবল। টাচ রেসপন্স খুবই ভালো ছিল, বেশ ব্রাইট একটি ডিসপ্লে, বেশ কালার ফুল, সব মিলিয়ে ভালো লাগার কাতারে থাকবে বলে আশা করা যায়।
Camera
এই স্মার্টফোটির মেইন আকর্ষন হলো এর ক্যামেরা। এর ক্যামেরা নিয়ে কথা বলতে গেলে আর শেষ হবে না কারণ এই ফোনের ক্যামেরায় বেশ কিছু নতুন নতুন ফিচার অ্যাড করা হয়েছে। রেয়ারে যে মেইন সেন্সর রয়েছে 50MP-এর এটি Sony IMX 866, f/1.8 তারপরে 12MP-এর একটি ultrawide সেন্সর তারপরে 12MP-এর একটি telephoto সেন্সর যেখানে 2X Optical Zoom পাওয়া যাবে এবং আপনারা হয়তো জেনে খুশি হবেন এতে Vivo v1+ zip ব্যবহার করা হয়েছে যাতে করে আপনারা লো লাইটে আরো একটু বেটার ছবি পাবেন। লাইট বেশি পাওয়া যাবে এবং ছবির কোয়ালিটি আগের তেুলনায় বেটার পাওয়া যাবে। এছাড়া এটিতে আপনি ছবি তোলার সময় Zeiss একটা ফিল পাবেন এবং Zeiss-এর যে নিজিস্ব কালার জোনটা রয়েছে আপনি চাইলে সেই মুড ব্যবহার করেও ছবি তুলতে পারেবেন।
তো এগুলো আমাদের কি কি অফার করছে আমরা জানলাম, তে এগুলো বাস্তবিক অর্থে কেমন রেজাল্ট ছিল? ডে-লাইটে বেশিভোগ ছবিতেই বেশ ভালো রকমের ডিটেলস পাওয়া যাচ্ছিল, very high dynamic range এখানে আমারা লক্ষ করব যেকোনো প্লেসে খুব ভালো ভাবে ছবিগুলোকে ক্যালকুলেশন করতে পারছিল এবং আউট ডোর রেজাল্ট আমরা খুবই ভালো পাচ্ছিলাম। প্রায় প্রত্যেকটা ছবিতেই ভালো রকমের ব্রাইটনেসের পাশাপাশি সার্পনেস ডিটেলস একদম ঠিকঠাক ছিল। এই স্মার্টফোনটির রেয়ার ক্যামেরায় সর্বোচ্চ 4K (2160p) তে ভিডিও রেকর্ডিং করা যাবে। এর ভিডিও ডিটেলস এবং সার্পনেস অসাধারণ ছিল। এই ফোনটিতে 32MP-এর সেলফি ক্যামেরা থাকছে। এর ফন্ট ক্যামেরার ফটো কোয়ালিটি খুবই ভালো ছিল এবং ফন্ট ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করা যাবে সর্বচ্চো [email protected] সব মিলিয়ে এর ক্যামেরা performance দুর্দান্ত ছিল।
performance
আমরা যদি এর performance নিয়ে কথা বলি তাহলে, MediaTek Density 9000 SOC রয়েছে এর মাঝে। RAM পাবেন 12 জিবি এবং 256 জিবি UFS 3.1 স্টোরেজ পেয়ে যাবেন। অপারেটিং সিস্টেমে রয়েছে Android 12 যা Funtouch 12 দ্বারা রান করছে। performance নিয়ে বলতে গেলে এটি যথেষ্ট শক্তিশালী একটি চিপসেট। একটি ফ্লাগশীপ লেভেলের স্মার্টফোন থেকে আপনি যেমনটা performance আশা করেন এই ফোনটি আপনাকে সেই performance দিতে পারবে। এই ফোনটি দিয়ে আপনারা বিভিন্ন ধরনের Hard Online গেম প্লে করতে পারবেন, এতে করে কোনো ধরনের ল্যাগ বা হিটিং ইস্যু লক্ষ করা যাবে না। Long টাইম গেমিং এ তেমন গরম লক্ষ করা যাবে না। এই স্মার্টফোনের চিপসেট 4nm Fabrication-এ তৈরি করা যার কারনে এটি খুবই কম ব্যাটারি বার্ণ করবে। স্মার্টফোনটির গ্রাফিক্স সিস্টেমে থাকছে Mali-G710 MC10. এর performance একদম টাপ লেভেলের ছিল।
Battery
আমরা যদি এর ব্যাটারি নিয়ে কথা বলি, এর ব্যাটারি সাইজ হলো 4500 mah Li-Po (non removable). এর বক্সে পেয়ে যাবেন 80W এর ফাস্ট চার্জার। এই চার্জার দিয়ে ফোনটিকে 0 to 50% চার্জ করতে সময় লেগেছে মাত্র 13 মিনিট। যারা রেগুলার ইউজার আছেন তারা এটা দিয়ে ১ দিন ইজিলি পার করতে পারবে।
Oppo reno7 price in BD and full review.