ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল বিস্তারিত বাংলায়

ফেসবুক মার্কেটিং এর কৌশল

বর্তমান বিশ্বে ফেসবুক আজ একটি বিশাল জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। যেখানে সর্বাধিক সংখ্যক লাইভ ব্যবহারকারী রয়েছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ বর্তমানে এই জনপ্রিয় সোশ্যাল প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে থাকে। বর্তমান এই যুগের ফেসবুক মার্কেটিং কি তা জানা সবার জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।বিশাল সংখ্যক মানুষ জনপ্রিয় এই সোশ্যাল প্লাটফর্মটি লাইভ ব্যবহার করার কারণে এখানে আরও অধিক পণ্য বিক্রি করা সম্ভব। এতে করে ব্যবসায় অধিক মুনাফা লাভ করা যাবে।বর্তমানে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাইভ ব্যবহারকারী রয়েছে ফেসবুকে।আমরা যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কথা বলি তাহলে সবার আগে আমাদের মাথায় যে ব্যাপারটি আসে তা হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং।কারন সবচেয়ে বেশি লাইভ ব্যবহারকারী রয়েছে ফেসবুকে।

ফেসবুক প্রায় সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ব্যবহার করে থাকে। আজকে আমরাই প্রতিবেদনটিতে আলোচনা করব ফেসবুক মার্কেটিং কি, ফেসবুক মার্কেটিং কিভাবে করতে হয় ?এর সাথে সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় যেমনঃ ফেসবুক মার্কেটিং কৌশল (Facebook Marketing Strategy), ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা (Facebook Marketing Benefits) , ফেসবুক কন্টেন্ট কৌশল (Facebook Content Strategy) সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত জানবেন।চলুন প্রথমেই জেনে নেয়া যাক ফেসবুক কি –

ফেসবুক কি ?

ফেসবুক একটি সামাজিক মিডিয়া ওয়েব এপ্লিকেশন। যা কিনা বিশ্বের সকল দেশের মানুষ বিনামূল্যে ব্যবহার করতে পারে। এখানে আপনি আপনার মোবাইল নম্বর অথবা ইমেইল আইডির তথ্য দিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে পারেন।এখানে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে চ্যাটিং, অডিও কল, ভিডিও কল করতে পারেন। যদিও বর্তমানে ফেসবুক শুধুমাত্র চ্যাটিং, অডিও কল কিংবা ভিডিও কল করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। এখানে আপনি ফটো, ভিডিও, বিভিন্ন ফাইল ইত্যাদি শেয়ার এবং আদান প্রদান করতে পারবেন। বিভিন্ন রকম ভাষায় আপনি ফেসবুক ব্যবহার করতে পারবেন।

ফেসবুক মার্কেটিং কি ?

ফেসবুক একটি বিশাল জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে আপনি আপনার দেশের এমন কি দেশের বাইরের যে কোন লোকের সাথে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারবেন। মূলত দেখা না করেই আপনি বিশ্বের যে কোন লোকের কাছে আপনার বার্তা পাঠাতে পারবেন। আপনার বাসায় বসে আপনি বিশ্বের যে কোন লোকের কাছে আপনার বার্তা, তথ্য, ফটো, ভিডিও, অডিও, নথিপত্র ইত্যাদি আদান প্রদান করতে পারবেন।Facebook বর্তমানে বিশাল জনপ্রিয় একটি মার্কেটিং প্লাটফর্ম। যেখানে আপনি অনলাইনে আপনার ব্যবসার প্রচারণা করতে পারবেন খুব সহজেই।

অনলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি কম খরচে বেশি লিড জেনারেশন করতে পারবেন।তাছাড়া ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন রকমের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন। আপনার যদি একটি ওয়েবসাইট থাকে তাহলে ফেকসবুকে বিজ্ঞাপন চালিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক আনতে পারবেন।ধরুন আপনার একটি জামা কাপড় বিক্রির ওয়েবসাইট রয়েছে। যাকে আমরা ই-কমার্স ওয়েবসাইট বলে থাকি।ফেসবুকে যারা জামা কাপড় কেনার জন্য আগ্রহী আপনি শুধুমাত্র সেই সকল মানুষকে টার্গেট করে বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন এবং তাদেরকে আপনার ওয়েবসাইটে আনতে পারবেন।এতে করে আপনার ওয়েবসাইটে বিক্রির পরিমাণ আরও বেশি বেড়ে যাবে। আপনি ফেসবুক মার্কেটিং এর সাহায্যে রেস্তোরাঁ, রিয়েল স্টেট, ছোট ব্যবসা, ই-কমার্স, ইলেকট্রিশিয়ান এবং ওয়েবসাইট ইত্যাদি প্রচার করতে পারবেন।

ফেসবুক বিজ্ঞাপন (প্রচারণা) কত ধরনের আছে? ফেসবুক প্রচারণার ধরন

ফেসবুকের বিজ্ঞাপনগুলি আপনার ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং উপকারী, তবে এটি আপনার ব্যবসার জন্য তখনই উপকারী হবে যখন আপনি সেরা ফেসবুক মার্কেটিং কৌশল নিয়ে অগ্রসর হবেন। এর জন্য,আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের জন্য কোন ধরনের ফেসবুক বিজ্ঞাপন গুলো সঠিক তা জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে চলুন এখন জেনে নেয়া যাক Facebook Ads সম্পর্কে। অনেক ধরনের ফেসবুক বিজ্ঞাপন রয়েছে। প্রতিবেদনটির এই অংশ পড়ার পর আপনারা জানতে পারবেন কোন বিজ্ঞাপনটি আপনার জন্য উপযুক্ত।

১. সচেতনতা

এখানে সচেতনতা বলতে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সচেতনাকে বোঝানো হয়েছে। আপনি যদি আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে চান তাহলে এটি আপনার জন্য হতে পারে ভালো একটি বিজ্ঞাপন। এখানে আপনি ভিডিও এবং সৃজনশীল ইনফোগ্রাফিক্স এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক সংযুক্ত করে মানুষকে সচেতন করতে পারেন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।

২. বিবেচনা

আপনি যখন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার বা ব্র্যান্ড এর সচেতনতা বাড়াবেন, তখন আপনাকে গ্রাহক বিবেচনার কোথাও ভাবতে হবে। এর জন্য, আপনার ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ ব্লক পোস্ট এবং কুপন কোড ইত্যাদি পন্থা অবলম্বন করে গ্রাহকদের আপনার   পণ্য  সম্পর্কে তথ্য জানাতে হবে। এর জন্য আপনাকে একটি দুর্দান্ত মার্কেটিং কৌশল অবলম্বন করতে হবে। আকর্ষণীয় ফেসবুক পোস্ট, ভিডিও, ইনপোগ্রাফিক্স ইত্যাদির মাধ্যমে গ্রাহকে আপনার পণ্য সম্পর্কে তথ্য দিতে হবে।

এখানে আপনি কল টু অ্যাকশন ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার গ্রাহককে আপনার ওয়েবসাইটের সাইন আপের জন্য বলতে পারেন। এরপর আপনার পণ্য  সম্পর্কিত যত যাবতীয় তথ্য আপনি তাদের ডাটাবেজে বিভিন্ন উপায়ে প্রেরণ করতে পারেন সেটা হতে পারে ইমেইলের মাধ্যমে অথবা অন্য যেকোনো মাধ্যমে।এখানে আপনার বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্য হতে পারে-

  • ক্লিক
  • এনগেজমেন্ট
  • ভিডিও ভিউ
  • বার্তা
  • অ্যাপ ইনস্টল
  • লিড জেনারেশন
  • ট্রাফিক

৩. কনভার্সেশন

মূলত কনভার্সেশনের বিজ্ঞাপন গুলো সেই সব গ্রাহকদের জন্য যারা ইতোমধ্যে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানেন। কিন্তু সে আপনার ব্র্যান্ড অথবা ব্যবসা থেকে কোন কিছুর সেবা গ্রহণ করে না বা কেনাকাটা করে না। এই পরিস্থিতিতে আপনার উচিত কনভারসেশন এর বিজ্ঞাপন গুলো ব্যবহার করে তাদেরকে আপনার ব্যবসা বা ব্রান্ডের সেবা গ্রহণ করতে বা কোন কিছুর কেনাকাটা করতে অনুপ্রাণিত করা। এখানে আপনার বিজ্ঞাপনটিতে গ্রাহকদের জন্য একটি ভালো কল টু একশন রাখতে হবে। যাতে গ্রাহক বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার মাধ্যমে সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে সাইন আপ করতে পারে এবং কোন কিছু কেনাকাটা বা সেবা গ্রহণ করতে পারে।

ফেসবুক কন্টেন্ট কৌশল

আপনি যদি অর্গানিক উপায়ে বা অর্থ প্রদানের মাধ্যমে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের ফেসবুকে প্রচার করতে চান, তাহলে ফেসবুকের কনটেন্ট স্টারজীর কৌশল বোঝা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাহলে আসুন ফেসবুকের কনটেন্ট কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক –

১. গ্রাহক নির্বাচন 

প্রতিটি ব্যবসার জন্য একটি নির্দিষ্ট গ্রাহক রয়েছে। ধরুন আপনার একটি কাপড়ের ব্যবসা রয়েছে তাহলে আপনার ক্রেতা হবে যারা কাপড় কেনার জন্য আগ্রহী । তাহলে আপনাকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেই সব গ্রাহককে টার্গেট করতে হবে যারা কাপড় কিনতে আগ্রহী। এখন যারা কাপড় কিনতে আগ্রহী আপনি যদি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাদের কাছে কোন খাবারের প্রচারণা করেন তাহলে আপনার সে বিজ্ঞাপন থেকে কোন লাভই আসবে না। সঠিক গ্রাহক নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য আপনাকে গ্রাহকের বয়স, লিঙ্গ, চাহিদা সবকিছু মাথায় রেখে এগিয়ে যাওয়া উচিত।

২. পোস্ট ফ্রিকোয়েন্সি

ফেসবুকে পোস্ট ফ্রিকোয়েন্সি পরিচালনা করা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ  একটি বিষয়। যদি আপনার ব্র্যান্ড বা ব্যবসা ফটোগ্রাফির সাথে সম্পর্কযুক্ত হয় তাহলে আপনি দিনে অন্তত তিনটা পোস্ট করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনার ব্যবসা রেস্তোরাঁ সম্পর্কিত হয় তাহলে আপনাকে দিনের অন্তত ৮ থেকে ১০ টি পোস্ট করতে হবে । আবার ধরুন আপনার ইলেকট্রনিকের ব্যবসা রয়েছে। তাহলে আপনাকে অন্তত দিনে এক থেকে দুইটি পোস্ট করতে হবে। মনে রাখবেন প্রতিদিন একই সময় পোস্ট করলে ফেসবুক বুঝতে পারে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ড সম্পর্কে আপনি খুবই সচেতন এবং আপনি সেটা  প্রচার করতে খুবই আগ্রহী। তখন ফেসবুক নিজে থেকেই অর্গানিক ভাবে আপনার পেইজের বা আপনার ব্যবসার প্রচার করে থাকে মানুষের কাছে। তাই আপনার ব্যবসা বা ব্রান্ডের পোস্ট ফ্রিকোয়েন্সি বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৩. পোষ্টের বিষয়বস্তুর প্রকারভেদ

ফেসবুকের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হচ্ছে কন্টেন্ট মার্কেটিং। এর জন্য আপনার গ্রাহকরা বা আপনার শ্রোতারা কি চায় তা মাথায় রেখে কন্টেন্ট বানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। ফেসবুকে মানুষ বিভিন্ন আর্টিকেল, ভিডিও, মীমস এগুলো খুব বেশি পছন্দ করে থাকে।ধরুন আপনার একটি রেস্তোরাঁ সম্পর্কিত পেজ রয়েছে।আপনি সেখানে খাবার সম্পর্কিত বিভিন্ন মেমস , মজাদার ভিডিও ইত্যাদি শেয়ার করতে পারেন। এক্ষেত্রে অবশ্য আপনার মাথায় রাখতে হবে আপনার গ্রাহক কি চায়। এর ফলে আপনি ফেসবুকে অর্গানিকভাবে লাইক ফলোয়ার এবং শেয়ার পাবেন।

৪. হ্যাশট্যাগ

আপনি ফেসবুকে যখনই কোন পোস্ট করবেন এতে অবশ্যই আপনি চেষ্টা করবেন হ্যাস ট্যাগ ব্যবহার করার জন্য। কারণ হ্যাশটেগ আছে এমন পোস্টে অন্যান্য সাধারণ পোস্টের চেয়ে বেশি ইম্প্রেশন পায়। আপনাকে বের করতে হবে কোন হ্যাশট্যাগ গুলো বর্তমানে ট্রেন্ডিংয়ে রয়েছে। আপনি কি সেই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে পোস্ট করতে হবে। এতে করে আপনার পোস্টটি ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

ফেসবুক মার্কেটিং এর সুবিধা

ফেসবুক মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় এবং গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং কৌশল। এর মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের আরো বেশি প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন। এতে করে অধিক মুনাফা লাভের সম্ভাবনা আরো বেড়ে যায়। যেকোনো ছোটখাটো ব্যবসা ফেসবুকে মার্কেটিং করার মাধ্যমে খুব সহজেই লাভবান হওয়া যায়। ফেসবুক মার্কেটিং আপনাকে অনেক সুবিধা দিতে পারে। চলুন এর সুবিধাগুলো জেনে নেয়া যাক –

বিশ্বব্যাপী ফেসবুকের ২.৮৯ বিলিয়ন মাসিক ব্যবহারকারী রয়েছে। ব্যবহারকারীর এই সংখ্যা দিনের পর দিন শুধু বেড়েই চলেছে। ভাড়া করা হচ্ছে ২০২৪ সালের মধ্যে এই মাসিক ব্যবহারকারীর সংখ্যা আরো দ্বিগুণ বেড়ে যাবে। বর্তমান বিশ্বে যতগুলো সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম রয়েছে এর মধ্যে ফেসবুক সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় মাধ্যম। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই ১০ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। যদি বাংলাদেসেই কেবল আপনি এই ১০ কোটি মানুষের কাছে আপনার ব্যবসা বা ব্র্যান্ডের প্রচারণা করতে পারেন তাহলে আপনি সেখান থেকে একটি ব্যাপক মুনাফা লাভের আশা করতে পারেন।

এখানের বেশিরভাগ মানুষই মোবাইল দিয়ে তাদের ফেসবুক ব্রাউজ করে থাকে। মানুষ অবসর সময় ফেসবুকের ফিডে সময় কাটাতে পছন্দ করেন। তাই আপনার বিজ্ঞাপন প্রচারের সময় অবশ্যই মোবাইল ব্যবহারকারীদেরকে টার্গেট করা উচিত। কারণ সবার হাতে ডেস্কটপ ল্যাপটপ ইত্যাদি না থাকলেও মোবাইল সবার কাছেই রয়েছে।

আপনি ফেসবুকে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে আপনার পণ্য সম্পর্কে গ্রাহকদের আরো বেশি সচেতন করতে পারেন। আপনার যদি কোন পণ্যের উপর অফার থেকে থাকে তবে তা ফেসবুকে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রচারের মাধ্যমে আরো বেশি লিড জেনারেশন করতে পারেন। এতে করে আপনার পণ্য বিক্রির সংখ্যা আরো বেড়ে যাবে।

ফেসবুকে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের কাছেই আপনার পণ্য বিক্রি করতে পারবেন।ধরুন আপনি ফেসবুকে একটি শাড়ি বিক্রি করতে চাচ্ছেন। আর সেই শাড়িটি আপনি ঢাকার মধ্যেই শুধু বিক্রি করতে চাচ্ছেন। ফেসবুক বিজ্ঞাপন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি শুধুমাত্র ঢাকা অঞ্চল নির্বাচন করতে পারবেন। শাড়ির ক্রেতারা যেহেতু মহিলা। আপনি সেখানে লিঙ্গ নির্ধারণে শুধুমাত্র মহিলাদের নির্বাচন করতে পারবেন । চাইলে আপনি এখানে বয়স সীমা ২৪ থেকে ৩০ ইত্যাদি নির্ধারণ করে দিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার বিজ্ঞাপন খরচ যেমন কমে যাবে। ঠিক তেমনভাবে সঠিক গ্রাহকদের কাছে আপনি আপনার বিজ্ঞাপনের প্রচার করতে পারবেন। ফেসবুক মার্কেটিং অন্যান্য মার্কেটিং এর তুলনায় সহজলভ্য এবং কার্যকর। এতে করে আপনি কম খরচেই আপনার ব্যবসা ব্র্যান্ডের প্রচার অধিক মানুষের কাছে করতে পারবেন।

কিভাবে ফেসবুকে মার্কেটিং করবেন?

ফেসবুক মার্কেটিং করতে গেলে অবশ্যই আপনার একটা ফেসবুক পেজ থাকতে হবে। আপনি বিনামূল্যে খুব সহজে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারবেন। এরপর আপনার এই পেজের মাধ্যমে আপনি আপনার ব্যবসার প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন। আপনার পেইজের ফলোয়ার বা লাইক বাড়ার সাথে সাথে আপনার ব্র্যান্ডের বা ব্যবসার প্রচারণাও আরো বেড়ে যাবে। সঠিক নিয়ম মেনে প্রতিদিন সঠিক সময় আপনার উচিত ফেসবুকে পোস্ট করা।

ইতিকথা, বর্তমান যুগে ব্যবসা বাণিজ্য যেকোন কাজে সোশ্যাল মিডীয়া মার্কেটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফেসবুক মার্কেটিং। এখানে পণ্যের বিশাল এক বাজার রয়েছে । ফেসবুকে প্রডাক্ট,সার্ভিস যেকোন কিছু মার্কেটিং করে আপনারা আপনাদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারেন। তাই সঠিক উপায়ে সঠিক উপায়ে ফেসবুক মার্কেটিং করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি আপনাদের টিপস হিসেবে এটুকু বলতে চাই যিনি ভালো সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করতে জানেন তার মাধ্যমেই মার্কেটিং করুন। আপনারা চাইলে আমাদের মাধ্যমেও করে নিতে পারেন। তার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। বিভিন্ন দেশের ভিসা ও টিকিট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Leave a Reply